জুলাই ২৬, ২০২২
কালিগঞ্জে লাথি মেরে স্ত্রী হত্যা স্বামীর ৬ বছর সশ্রম কারাদন্ড
নিজস্ব প্রতিনিধি: মৃত্যু ঘটতে পারে জেনেও স্ত্রীর বুকে ও পিঠে লাথি মারার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করে এক ব্যক্তির ছয় বছর সশ্রম কারাদÐ, ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো দুই মাসের কারাদÐাদেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক বিশ্বনাথ মÐল এ আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামির নাম নুরুল ইসলাম। তিনি সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার তারালী গ্রামের হামিজউদ্দিনের ছেলে। মামলার বিবরণে জানা যায়, কালিগঞ্জ উপজেলার তারালী গ্রামের আরশাদ আলীর মেয়ে শাহানারা খাতুনের সঙ্গে একই গ্রামের হামিজউদ্দিনের ছেলে নুরুল ইসলামের ১৯৯২ সালে বিয়ে হয়। নুরুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী থাকায় দ্বিতীয় স্ত্রী শাহানারাকে সে প্রায়ই মারপিট করতো। ২০০১ সালের ১২ নভেম্বর রাত নয়টার দিকে এক কেজি চাল কেনার জন্য শাহানারা খাতুন তার স্বামীর কাছে টাকা চাইলে বচসার এক পর্যায়ে তার বুকে ও পিঠে লাথি মেরে আহত করেন। রাত সাড়ে ১১ টার দিকে গ্রাম্য ডাক্তার ফজর আলী প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে এসে দেখেন শাহানারা খাতুন মারা গেছে। খবর পেয়ে শহানারার পিতা আরশাদ আলী রাত ১২টার দিকে নুরুল ইসলামের বাড়িতে এসে শাহানারাকে মেঝেতে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় স্থানীয়রা নুরুল ইসলামকে আটক করে পরদিন সকালে পুলিশে খবর দেন। এ ঘটনায় শাহানার খাতুনের বাবা আরশাদ আলী বাদী হয়ে জামাতা নুরুল ইসলামের নাম উল্লেখ করে পরদিন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা কালিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক নুরুল আমিন ২০০২ সালের ২৬ মে নুরুল ইসলামের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সাফাই সাক্ষ্য প্রদানকালে নিহতের মেয়ে মৌসুমী আক্তার বেবী তার মাকে বাবা লাথি মেরে হত্যা করেছে বলে জানায়।
মামলার নথি ও ১৭ জন সাক্ষীর জেরা ও জবানবন্দি পর্যালোচনা শেষে আসামি নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মৃত্যু ঘটিতে পারে জানিয়াও স্ত্রীর বুকে ও পিঠে লাথি মারার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ফৌজদারি দÐবিধির ৩০৪ ধারায় ৬ বছর সশ্রম কারাদÐ, ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদÐাদেশ দেন। 8,589,387 total views, 6,073 views today |
|
|
|